বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার মতো স্টেডিয়াম বানাবে বিসিবি - লাল সবুজ

শিরোনাম

বিজ্ঞাপন দিন

Ads

বিজ্ঞাপন দিন

Ads

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার মতো স্টেডিয়াম বানাবে বিসিবি


পূর্বাচলে অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম সভা হয়েছে আজ। সভা শেষে গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম জানালেন, পূর্বাচল স্টেডিয়ামের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে আগামী শীতে 

পূর্বাচলে একটি অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগেই দিয়েছে। স্টেডিয়াম নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে আজ প্রথম সভা হয়েছে বিসিবি কার্যালয়ে। সভা শেষে বিসিবি পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, কাজ শুরুর দুই বছরের মধ্যে তাঁরা শেষ করবেন পূর্বাচল স্টেডিয়াম নির্মাণ।
পূর্বাচল স্টেডিয়ামের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে আগামী শীতে। আগেই বলা হয়েছে, বিসিবি এরই মধ্যে নিজস্ব ধারণায় একটা নকশা তৈরি করেছে। এ নকশায় যে স্থাপনা রাখা হয়েছে এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু যোগ হতে পারে, বিয়োগও হতে পারে। তবে পূর্বাচলে স্টেডিয়ামে হলে বিসিবির বর্তমান কার্যালয় মিরপুরে কি থাকবে? মাহবুব আনাম এটি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারলেন না, ‘ওটা পরে ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। এখন বলার উপায় নেই। আর এটা এমন একটা প্রতিষ্ঠান, মনে করি না এই মাঠের প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে। এটা একটা আন্তর্জাতিক মাঠ, সেভাবেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।’গত ফেব্রুয়ারিতে বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, সরকারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকায় প্রতীকী মূল্যে ৩৭.৪৯ একর জমি পেয়েছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তিন বছরের মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করতে চান তাঁরা। আজ গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সময়টা আরও এগিয়ে আনলেন, ‘আমরা আশা করছি কাজ শুরুর দুই বছরের মধ্যেই শেষ করব।’ 

পূর্বাচল স্টেডিয়ামটা কেমন হবে, সেটির নকশা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর এলে স্টেডিয়ামের একটা কল্পিত নকশা উপস্থাপন করে বিসিবি। সেই নকশায় দেখানো ‘বোট’ বা ‘নৌকার’ আদলেই স্টেডিয়ামটা হবে কি না, এখনই বলার উপায় নেই। মাহবুব আনাম শুধু বললেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম সভা ছিল আজ। কীভাবে আমরা পরিকল্পনা করব, তাঁর একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিতে বাইরে থেকে বেশ কজন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বুয়েট থেকে প্রতিনিধি নেওয়া হবে। এ মাসের মধ্যেই আমরা মাঠের পজেশনের কাজ (দখল বুঝে নেওয়া) করব। পজেশন পেলেই কাজে গতি আসবে। মাঠ রক্ষা করা, একটা সাইট অফিস করা, এভাবে সামনে এগোব। আমাদের লক্ষ্য, এটি এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই অঞ্চলে নয়, পুরো ক্রিকেট–বিশ্বেই হবে বলার মতো। এখানে আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিজ্ঞাপন দিন

Ads